ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির কাছে ৪ দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • ২০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে বাংলাদেশে নিযুক্ত চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৃথকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

রাষ্ট্রদূতরা হলেন- নেপালের আবাসিক রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মাশরা। তিনজন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হলেন-লেবাননের রাবী নারশ, কম্বোডিয়ার ইউএনজি সিন ও সুদানের আহমেদ ইউসিফ মোহাম্মদ এলসিদিগ।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে এই রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্বকালে দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।

বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনাময় দেশ উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বাংলাদেশ ও নিজ নিজ দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের সাথে তিনটি দেশের বাণিজ্যিক, ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক বন্ধন জোরদার করা প্রয়োজন। তিনি বিদ্যমান এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে কমমূল্যে বিশ্বমানের ওষুধ ও পোশাক প্রস্তুত করছে।

রাষ্ট্রপতি দেশগুলোর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের ভ্রমন ও মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।

নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সাথে নেপালে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ধীরে ধীরে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। দু’দেশের পর্যটন খাতে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা দুদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করছে।

তিনি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে চার রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির সহায়তা কামনা করেন। দেশের অসামান্য উন্নয়ন, বিশেষত আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তারা নিশ্চয়তা দেন যে বাংলাদেশ তাদের দেশের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা পাবে।

এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাষ্ট্রপতির কাছে ৪ দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে বাংলাদেশে নিযুক্ত চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৃথকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

রাষ্ট্রদূতরা হলেন- নেপালের আবাসিক রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মাশরা। তিনজন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হলেন-লেবাননের রাবী নারশ, কম্বোডিয়ার ইউএনজি সিন ও সুদানের আহমেদ ইউসিফ মোহাম্মদ এলসিদিগ।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে এই রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্বকালে দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।

বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনাময় দেশ উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বাংলাদেশ ও নিজ নিজ দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের সাথে তিনটি দেশের বাণিজ্যিক, ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক বন্ধন জোরদার করা প্রয়োজন। তিনি বিদ্যমান এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে কমমূল্যে বিশ্বমানের ওষুধ ও পোশাক প্রস্তুত করছে।

রাষ্ট্রপতি দেশগুলোর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের ভ্রমন ও মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।

নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সাথে নেপালে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ধীরে ধীরে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। দু’দেশের পর্যটন খাতে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা দুদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করছে।

তিনি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে চার রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির সহায়তা কামনা করেন। দেশের অসামান্য উন্নয়ন, বিশেষত আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তারা নিশ্চয়তা দেন যে বাংলাদেশ তাদের দেশের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা পাবে।

এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।